Code of Criminal Procedure ১৮৯৮ সালের ৫ নং আইন । ইহা একটি পদ্ধতিগত আইন। এ আইনে ৫৬৫টি ধারা ও ৫ টি তফসিল আছে। প্রথম প্রকাশকাল ২ শে মার্চ ১৮৯৮ এবং কার্যকরী হয় ১ লা জুলাই ১৮৯৮ সাল থেকে।
ধারা-৪ : সংজ্ঞাসমুহ।
ধারা-৪ (১-ক) : এডভোকেট ।
যিনি মক্কেলের পক্ষ আদালতে উপস্থিতহতে পারেন।
ধারা-৪ (১-কক) : এ্যাটর্নী জেনারেল ।
এটর্নী জেনারেল বলতে এটর্নী জেনারেল,অতিঃ এটনী জেনারেল,ডেপুটি এর্টনী জেনারেল ও সহকারী এর্টনী জেনারেল।
ধারা-৪ (১-খ): জামিনযোগ্য ও জামিনঅযোগ্য অপরাধ ।
জামিনযোগ্য অপরাধঃ যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া স্বাভাবিক বা অধিকার হিসেবে দাবী করা যায় সে সকল অপরাধকে বলে জামিনযোগ্যঅপরাধ।
জামিনঅযোগ্য অপরাধঃ যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া স্বাভাবিক নয় বা অধিকার হিসেবে দাবী করা যায় না সে সকল অপরাধকে বলে জামিনযোগ্যঅপরাধ।
ধারা-৪ (১-চ) :L আমলযোগ্য অপরাধ ।
যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ আসামীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে বা ফৌঃ কাঃ বিঃ দ্বিতীয় তফসিলে যে সকল অপরাধকে আমলযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে ,সে সকল অপরাধকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে।
ধারা-৪ (১-জ) : নালিশ।
জ্ঞাত বা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মৌখিক বা লিখিত ভাবে প্রতিক্ার চেয়ে ম্যজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করাকে নালিশ বলে।
ধারা-৪ (১-ট) : অনুসন্ধান ।
আদালতের বিচার শুরুর পর্বে পরিচালিত সন্ধানমুলক কার্যক্রমকে অনুসন্ধান বলে।
ধারা-৪ (১-ঠ)ঃ তদন্ত।
সাক্ষ্য-প্রমান সংগহের উদ্দেশ্যে পুলিম বা আদালত কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত ান্য কোন ব্যাক্তি যে কার্যক্রম পরিচালনা কওে,তাকে তদন্ত বলে।
ধারা-৪ (১-ড)ঃ বিচারিক কার্যক্রম ।
অনুসন্ধান ব্যাতিত আদালত কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রমকে বিচারিক কার্য়ক্রম বলে।
ধারা-৪ (১-ঢ)ঃ আমল-অযোগ্য অপরাধ ।
যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ আসামীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে না বা ফৌঃ কাঃ বিঃ দ্বিতীয় তফসিলে যে সকল অপরাধকে আমলঅযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে ,সে সকল অপরাধকে আমলযোগ্য অপরাধ বলে।
ধারা-৪ (১-ণ)ঃ অপরাধ ।
শাস্তিযোগ্য কাজ বা নিবৃতিকে বলে অপরাধ ।
ধারা-৪ (১-ত)ঃ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ।
থানার প্রধান হলেন অফিসার ইন চার্জ । উক্ত অফিসারের অনুপস্থিতিতে থানার দায়িত্বে যিনি থাকেন,তাকে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বলে।
ধারা-৬ ঃ ফৌজদারী আদালতের শ্রেনীবিভাগ।
ক্স ধারা ৬(১)-সুপ্রীম কোট ব্যতিত এ বিধি বর্হিঃভুত ফৌজদারী আদালত ২ প্রকার।যথাঃ ১। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,২। দায়রা আদালত ।
ক্স মহানগরের জন্য একটি মহানগর দায়রা আদালত এবং উক্ত আদালতে একজন মহানগর দায়রা জজ থাকবেন।
ক্স সমগ্র বাংলাদেশে দায়রা আদালত ২ প্রকার। যথাঃ ১। দায়রা আদালত, ২। মহানগর দায়রা আদালত ।
ক্স জেলা পর্যায়ে দায়রা জজ ৩ ধরনের । য়থা ঃ ১ । দায়রা জজ,২। অতিঃ দায়রা জজ ও ৩। যুগ্ম দায়রা জজ ।
ক্স মহানগর পর্যায়ে দায়রা জজ ৩ ধরনের । য়থা ঃ ১ । মহানগর দায়রা জজ,২। অতিঃ মহানগর দায়রা জজ ও ৩। মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ ।
ক্স রাষ্ট্রপতি কর্তক সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে জুডিশিাল সার্ভিস কমিশনের সদস্যদেও মধ্যে থেকে নিয়োগ দিবেন।
ধারা-১০ ঃ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
ক্স সরকার একটি জেলায় যত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রয়োজন মনে করেন তত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করবেন।
ক্স যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করতে পারেন। তিনি
ক্স নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মধ্যে একজনকে জেলাা ম্যাজিষেট্রট নিয়োগ করবেন।
ধারা-১১ ঃ বিচরিক ম্যজিষ্ট্রেট।
যে সকল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচার কার্য পরিচালনা করতে পারেন তাদের কে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্চ্রেট বা বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট বলে । বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট গন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বায়লাদেশে জুডিশিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট গন বিচার কার্য পরিচালনা করিবেন যা কার্যকরী হয় ১লা নভেম্বও ২০০৭ সাল থেকে ( ২০০৯ সালের ৩২ নং দ্বারা সংশোধিত)।
জেলায় ৫ ধরনের জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট । যথাঃ ১ । চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট,২। অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষেট্রট,৩। ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট,৪। ২য় শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৫। ৩য় শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট।
মহানগরে ৩ ধরনের জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট । যথাঃ ১ । চীফ মোট্রোপলিটন ম্যজিষ্ট্রেট,২। অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষেট্রট ও ৩। মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট।
নোটঃ জেলায় ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট বলতে মহানগরে মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেটকে বুঝাবে।
ধারা-১২ ঃ বিশেষ ম্যজিষ্ট্রেট।
বিশেষ কোন কাজের জন্য বিশেষ কোন এলাকায় সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ম্যাজিষ্ট্রেটকে বিশেষ ম্যাজিষ্ট্রেট বলে ।
বিশেষ ম্যাজিষ্ট্রেট ৩ স্তর বিশিষ্ট। যথাঃ- ১। বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট,২। বিশেষ ম্যাজিষ্ট্রেট ও ৩। বিশেষ মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট ( ২০০৯ সালের ৩২ নং দ্বারা সংশোধিত)।
ধারা-২৯গ ঃ যে সমস্ত অপরাধি মৃত্যুদন্ডে দন্ডনীয় নহে।
ধারা-২৯গ(ক)ঃ মৃত্যুদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ ব্যাতিত সরকার হাইকোর্টে সাথে পরামশক্রমে ছীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট,ছীফ জুিিশয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত ছীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষেট্রটকে এরুপ সমস্ত অপরাধের বিচার ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে ক্ষমতা দিতে পারেন।
ধারা-২৯গ(খ)ঃ মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ বা ১০ বছরের অধিক কারাদন্ডে দন্ডনীয় অপরাধ ব্যাতিত সরকার হাইকোর্টে সাথে পরামশক্রমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট,১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে এরুপ সমস্ত অপরাধের বিচার ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে ক্ষমতা দিতে পারেন।
ধারা-৩১(১) ঃ হাইকোট বিভাগ আইন অনুমোদিত যে কোন দন্ড দিতে পারে।
ধারা-৩১(২) ঃ দায়রা আদালতে দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ আইন অনুমোদিত যে কোন দন্ড দিতে পারে। তবে মৃত্যুদন্ড কার্যকরীকরনের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের অনুমোদন প্রয়োজন হয় (কাঃ বিঃ ধারা-৩৭৪)।
ধারা-৩১(৩) ঃ যুগ্ম দায়রাজজ ১০ বছরের অধিক নহে এরুপাাইন অনুমোদিত যেকোন দন্ড দিতে পারে।
ধারা-৩২ ঃ ম্যজিষ্ট্রেটগন যে দন্ড দিতে পারে।
ধারা-৩২-১(ক) ঃ প্রথম শ্রেনী অথবা মহানগর ম্যজিষ্ট্রেট নির্জন কারাবাস ও বেত্রাঘাত সহ ৫ বছরের অনধিক কারাদন্ড বা ১০০০০/ টাকা জরিমানার দিতে পারে।
ধারা-৩২-১(খ) ঃ দ্বিতীয় শ্রেনী নির্জনম্যাজিষ্ট্রেট নির্জনকারাবাসসহ ৩ বছরের অনধিক কারাদন্ড বা ৫০০০/ টাকা জরিমানার দিতে পারে।
ধারা-৩২-১(গ) ঃ Code of Criminal Procedure মোতাবেক তৃতীয় শ্রেনী ম্যাজিষ্ট্রেট ৩ বছরের অনধিক কারাদন্ড বা ৫০০০/ টাকা জরিমানার দিতে পারে।
ধারা-৩৩ক ঃ কতিপয় ম্যজিষ্ট্রেটের উচ্চতর ক্ষমতা।
২৯গ ধারায় যা থাকুক না কেন, কতিপয় উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাজিষ্ট্রেট সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত দন্ড দিতে পারে।
নোটঃ যেহেতু একজন ম্যাজিষ্ট্রেট সর্বোচ্চ ৭ বছরের বেশী কারাদন্ড দিতে পারে না,সেহেত একজন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আইন অনুমোদিত সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড দিতে পারে।
ধারা-৪৬ : Code of Criminal Procedure মোতাবেক গ্রেফতার সংক্রান্ত বিধান।
দেহগত ভাবে স্পর্শ বা আটককে গ্রেফতার বলে । গুরতর আসামী না হলে হাত কড়ার বিধান নেই।
ধারা-৫১ ঃ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী ।
পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া আসামীর নিকট তল্লাসী কালীন যা পাওয়া যাবে,তা আইনের বিধান মোতাবেক সঠিক হেফাজতে রাখতে হবে।
ধারা-৫২ : মহিলার দেহ তল্লাশীর পদ্ধতি ।
শালীনতার প্রতি দৃষ্টিরেখে মহিলা দ্বারা মহিলা আসামীর দেহ তল্লাশী করা যাবে।
৩ টি ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারে।
(১) ভবঘুরে,
(২) অভ্যাসগত অপরাধী ও
(৩) যার প্রকাশ্য কোন জীবিকা নেই বা নিজের সম্পর্কে সঠিক কোন পরিচয় নেই ।
ধারা-৫৯ ঃ বেসরকারী ব্যক্তি কর্তৃক গ্রেফতার ।
আমলযোগ্য অপরাধ যদি জনসাধারনের সামনে সংঘটিত হয়,সেক্ষেত্রে একজন বেসরকারী ব্যাক্তি আসামীকে গ্রেফতার করতে পারে। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের পর থানায় অথবা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন।
ধারা-৬০ ঃ উক্তরুপ ব্যক্তিকে ম্যাজিষ্ট্রেট বা থানায় উপস্থাপন ।
আ্ইনগতভাবে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার ক্ষমতাবান ব্যাক্তি কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামীকে থানায় অথবা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করতে বাধ্য থাকবেন।
ধারা-৬১ ঃ গ্রেফতাকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার বেশী আটক রাখা যাবে না ।
বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিকে যৃক্তিসংগত কারন ছাড়া ২৪ ঘন্টার বেশী আটকে রাখতে পারবে না।
ধারা-৬৪ ঃ ম্যজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটন ।
ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে প্রথম দৃষ্টিতে কোন ব্যাক্তি কোন অপরাধ সংঘটন করলে ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করতে পারে।
ধারা-৬৫ ঃ ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বা ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে গ্রেফতার ।
ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতার করতে বা গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারে যদি সংঘটিত অপরাধের এখতিয়ার তার অধীনে হয়।
আসামীকে আদালতে হাজির করার জন্য গ্রেফতারী পরোয়ানা ইসু করার পরও যদি আসামীকে আদালতে হাজির করানো না যায় সেক্ষেত্রে উক্ত আসামীকে আদালতে হাজির করার জন্য ৩০ দিনের কম নহে এমন সময় সীমা বেধে দিয়ে আদালত যে ঘোষনাপত্র ইসু করেন তাকে হুলিয়া বলে।
হুলিয়াজারী ঃ যার নামে হুলিয়া জারী করা হবে সে ব্যক্তি যে শহর বা গ্রামে বসবাস করেন তার প্রকাশ্য স্থানে হুলিয়া পাঠ করে,এক কপি লটকাইয়ে,এক কপি আদালত প্রাঙ্গনে নোটিশ বোর্ডে লটকাইয়ে এবং হুলিয়ার সংবাদ যে কোন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করলেই হুলিয়াজারী হয়েছে বলে গন্য হবে।
ধারা-৮৮ঃ পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তি ক্রোক।
ধারা- ৮৮(১) : Code of Criminal Procedure মোতাবেক সমন বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ইসু বা হুলিয়াজারী করেও যদি আসামীকে আদালতে হাজির করা না যায় সেক্ষেত্রে উক্ত আসামীর স্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি সরকারের হেফাজতে নেয়াকে ক্রোক বলে।
ক্রোকের পদ্ধতিঃ ক্রোকের ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির বিধান মোতাবেক-
ধারা- ৮৮(৩) ঃ অস্থাবর স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে আটক করে অথবা রিসিভার নিয়োগ কওে অথবা লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষিত ব্যক্তিকে বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর প্রদান নিষেধ করে অথবা আদালতের ইচ্ছে মোতাবেক যে কোন ব্যাবস্থা করে ক্রোক করা যায়।
ধারা- ৮৮(৪) ঃ স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে দখল নিয়ে অথবা রিসিভার নিয়োগ কওে অথবা লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষিত ব্যক্তিকে বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর প্রদান নিষেধ করে অথবা আদালতের ইচ্ছে মোতাবেক যে কোন ব্যাবস্থা করে ক্রোক করা যায়
ধারা- ৮৮(৫) ঃ ক্রোককৃত সম্পত্তি প্রানী সম্পদ বা পচন হলে আদালত উক্ত সম্পদ বিক্রয়ের আদেশ দিতে পাওে এবং বিক্রয় লব্ধ অর্থ আদালতের নিদেষশ মোতাবেক ব্যাবহৃত হবে।
ধারা- ৮৮(৬ক) ঃ হুলিয়াধীন ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক হুলিয়ার তারিখ হতে ৬ মাসের মধ্যে দাবী করতে পারে। ৬ মাসের মধ্যে দাবীকারী মারা গেলেও তার আইন সঙ্গত প্রতিনিধি উক্ত দাবী বা আপত্তি করতে পারে।
ধারা-৮৯ ঃ হুলিয়া প্রত্যাহার।
পলাতক আসামী উপযুক্ত কারন প্রদর্শন সাপেক্ষে হুলিযার তারিখ হতে ২ বছরের মধ্যে আদালতে আত্মসমার্পন পুর্ব হুলিয়াকৃত সম্পত্তি ফেরত এর জন্য আবেদন করতে পারে। আদালত সন্তোষ্চ হলে পলাতক আসামী হুলিয়াকৃত সম্পত্তি ফেরত পেতেপারে।
ধারা-৯৬ ঃ তল্লাশী পরোয়ানা জারী।
কোন মামলার আলামত,অবৈধ ডাক মাশুল,জাল দলিল ইত্যাদি উদ্ধারের জন্য তল্লাশী পরোয়ানা ইসু করতে পারে ।
ধারা-৯৮ ঃ চোরাই মাল বা জাল দলিল উদ্ধারের জন্য তল্লাশী।
চোরাই মাল,জাল দলিল, জাল স্টাম্প ইত্যাদি উদ্ধারের নিমিত্তে পিটিশন আকারে মামলা।
ধারা-১০০ ঃ বেআইনীভাবে আটক ব্যাক্তি উদ্ধারের জন্য তল্লাশী।
বে-আইনীভাবে কোন ব্যাক্তিকে আটক রাখলে অত্র ধারার বিধান মতে উক্ত বে-আইনী আটককৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারের মামলা। তদক্ষেত্রে আদালত তল্লাশী পরোয়ানা ইসু করতঃ বে- আইনীভাবে আটককৃত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করতে পারে।
ধারা-১০৩ ঃ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশী।
ধারা-১০৩(১) ঃ কমপক্ষে দুই বা ততোধিক গন্যমান্য ব্যাক্তির উপস্থিতিতে তাদের লিখিত বা মেীখিক সম্মতিতে তল্লাশী কার্য পরিচালনা করতে হবে।
ধারা-১০৩(২) ঃ তল্লাশী করে যা কিছু উদ্ধার হবে সে সকল মালামালের গায়ে লেবেল লাগাতে হবে ও সাক্ষীদেও উপস্থিতিতে ৩ কপি জব্দ তালিকা কওে সাক্ষীদের সাক্ষর নিতে হবে।
ধারা-১০৩(৩) ঃ যে স্থানে তল্লাশী হবে সে স্থানের মালিক বা তার প্রতিনিধি কে তল্লাশীর সময় সে স্থানে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিতে হবে এবং জব্দ তালিকার ১ কপি তাদের কে দিতে হব্।ে
ধারা-১০৩(৪ ) ঃ তল্লাশী কালে কিছু পাওয়া না গেলেও শুন্য জব্দ তালিকা করে সাক্ষীর স্বাক্ষর নিতে হবে এবং স্থানের মালিক বা তার প্রতিনিধিকেও ১ কপি দিতে হবে।
ধারা-১০৩(৫) : Code of Criminal Procedure মোতাবেক যে স্থানে তল্লাশী হবে সে স্থানের আশে পাশে কোন ব্যক্তিকে পুলিশ অফিসা তাকে তলবকরলে সে যদি উপস্থিত না হয় তাহলে দঃ বিঃ ১৮৭ ধারার বিধান মোতাবেক অপরাধ করেছে বলেগন্য হবে।
ধারা-১০৬ ঃ দন্ডিত হওয়ার পর শান্তিরক্ষার মুচলেকা ।
হাইকোট বিভাগ,দায়রা আদালত, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেনীর ম্যজিস্ট্রেট শান্তিভঙ্গ ও অসদাচরনের কারনে দন্ডিত হওয়ার পর সদাচরনের মুচলেকা । এক্ষেত্রে মুচলেকা দিতে হয ৩ বছরের জন্য।সংক্ষুব্দ ব্যাক্তি দায়রা আদালতে রিভিশন করতে পারে।
ধারা-১০৭ ঃ শান্তিরক্ষা ও সদাচরনের জন্য মুচলেকা ( দন্ডিত হওয়ার ক্ষেত্র ছাড়া)।
শান্তিভঙ্গ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক বছরের অধিক নহে এমন মেয়াদের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারেন।
বিঃ দ্র ঃ ১০৬/১০৭/১০৮ ধারার অধীন সদাচরনের মুচলেকা দিতে না পারার ফলে যে কারাদন্ড হয় তা বিনাশ্রম হতে পারে।
ধারা-১০৯ ঃ ভবঘুরে ও সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সংগত আচরনের মুচলেকা ।
ভবঘুরে ও সন্দেহজনক ব্যক্তি কর্তৃক শান্তিভঙ্গ করতে পারে তেমন ব্যক্তিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক বছরের অধিক নহে এমন মেয়াদের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১১০ ঃ অভ্যাসগত অপরাধীর নিকট হতে সদাচরনের জন্য মুচলেকা ।
অভ্যাসগত অপরাধী যেমন ডাকাত,দস্য ইত্যাদি ব্যক্তি কর্তৃক শান্তিভঙ্গ হতে পারে এমন ব্যক্তিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা এই বিষয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রথম শেনীর ম্যাজিস্ট্রেট ৩ বছরের অধিক নহে এমন মেয়াদের জন্য মুচলেকার আদেশ দিতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ ঃ ১০৯/১১০ ধারার অধীন সদাচরনের মুচলেকা দিতে না পারার ফলে যে কারাদন্ড হয় তা সশ্রম বা বিনাশ্রম হতে পারে।
ধারা-১৪৪ ঃ উৎপাত বা আশংকিত বিপদেও ক্ষেত্রে অস্থায়ী আদেশ দানের ক্ষমতা ।
ধারা-১৪৪(১) ঃ মানুষের জীব,স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তার হুমকি অথবা বাধা,বিরুক্তি বা মারামারী অথবা দাঙ্গা, হাঙ্গামা ইত্যাদি আসন্ন বিপদের ক্ষেত্রে সরকার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিশেষ ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরুরী আদেশ প্রদান করতে পারে।
ধারা-১৪৪(২) ঃ নোটিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ের পরিস্থিতি না থাকলে অত্র ধারার বিধান বলে এক তরফা আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১৪৪(৩) ঃ অত্র ধারার বিধান বলে কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন স্থানে ঘন ঘন যাতায়তকারী বা সফরকারী জনসাধানে প্রতি আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১৪৪(৪) ঃ ম্যাজিস্ট্রেট স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বা কোন পক্ষের আবেদনক্রমে অত্র ধারার বিধান বলে জরুরী আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১৪৪(৫) ঃ কোন পক্ষের আবেদন পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত পক্ষকে ব্যাক্তিগত ভাবে বা তার পক্ষে কোন কৌশুলরি মাধ্যমে হাজির হতে বলবেন।
ধারা-১৪৪(৬) ঃ গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকার কোন আদেশ না দিলে এই ধারা অনুসাওে কোন আদেশ ২ মাসের বেশী বলবত থাকবে না।
ধারা-১৪৪(৭) ঃ মহানগর এলাকায় অত্র ধারার বিধান প্রযোজ্য নয়। কিন্তু পুলিশ কমিশনার অত্র ধারার বিধান মতে আদেশ দিতে পারেন।
ধারা-১৪৫ ঃ স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ এর ক্ষেত্রে বিধান ।
ধারা-১৪৫ (১)ঃ এই ধারার বিধান মতে সরকার বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক বিশেষ ভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ রিপোট বা অন্য কোন ভাবে যদি সংবাদ পান যে তার এলাকায় স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ আছে তাহলে নিম্মলিখিত কারনে প্রসিডিং ইসু করবে।
ক্স (ক) জমি,পানি বা উহার সীমানা নিয়ে বিরোধ,
ক্স (খ) উক্ত বিরোধের কারণে শান্তিভঙ্গ ও
ক্স (গ) ম্যাজিস্চ্রেটের সন্তোষ্টি
ধারা-১৪৬ ঃ বিরোধীয় সম্পত্তি ক্রোক করার ক্ষমতা ।
ধারা-১৪৭ ঃ স্থাবর সম্পত্তি ব্যাবহার সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে পদ্ধতি ।
ধারা-১৪৮ ঃ স্থানীয় অনুসন্ধান ।
ধারা-১৫৪ঃ আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ বা এজাহার ।
এজাহার সম্পর্কে ফৈাজদারী কার্যবিধির কোথাও বলা নেই । তবে থানায় এজাহার বা এফ আই আর দায়েরেরজন্য ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫৪ ধারার মর্মে দায়ের করতে হয়।
এজাহারের বৈশিষ্ট :
ক্স অপরাধ সম্পর্কে থানায় সংবাদ দিতে হবে।
ক্স অপরাধটি আমলযোগ্য হতে হবে।
ক্স সংবাদটি লিখিত বা মৌখিক হতে পারে।
ক্স সংবাদটি মৌখিক হলে লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ক্স সংবাদ দাতাকে পড়াইয়ে শুনাতে হবে।
ক্স সংবাদ দাতার সাক্ষর নিতে হবে।
ক্স বিপি-২৭ ফরম লিখিত আকাওে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ধারা-১৫৫ঃ আমলঅযোগ্য অপরাধের সংবাদ ।
আমল অযোগ্য অপরাধের সংবাদ থানায় আসলে পুলিমশ সরাসরি মামলাটি গ্রহন না করে সংবাদ দাতাকে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যেতে বলবেন। ম্যাজিষ্ট্রেট বা আদালত অনুমতি দিলে তদক্ষেত্রে থান মামলাটি তদন্তের জন্য গ্রহন করতে পারে।
প্রচলিত নন জি আর মামলা অত্র ধারার বিধান বলে করা হয়।
ধারা-১৫৬ঃ আমলযোগ্য অপরাধের তদন্ত ।
একজন ম্যাজিষ্ট্রেট সংঘটিত আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে তার এখতিয়ারে বিচার বা অনুসন্ধানের জন্য যে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে আইনগত ভাবে ক্ষমতাবান তদ্রæপ একজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটেরআদেশ ছাড়াই তার এখতিয়ারের একই ক্ষমতা প্রযোগ করতে আইনগত ভাবে ক্ষমতাবান।
ধারা-১৫৯ঃ ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক অনুসন্ধানের ক্ষমতা ।
ধারা-১৬০ঃ ঘটনা সম্পর্কে অবগত ব্যাক্তিদের তলব ।
তদন্ত কর্মকর্তা তার নিজ থানা বা পাশর্^বর্তী থানার সীমানার মধ্যে অবস্থানকারী ঘটনা সম্পকে অবগত কোন ব্যাক্তিকে সাক্ষী হিসেবে তলব করতে পারে।
ধারা-১৬১ঃ পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীদের জবানবন্দী লিপিবদ্বকরন ।
তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত পরিচালনা কালীন সাক্ষী পরীক্ষা বা জবান বন্দী নিতে পারে।
ধারা-১৬৪ঃ ম্যজিষ্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তি ।
প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মহানগর ম্যজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক ২য় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট কার্যবিধির ৩৬৪ ধারা বিধান মতে পদ্ধতিতে আসামীর স্বীকারোক্তি নিতে পারেন।
ধারা-১৬৫ঃ পুলিশ অফিসার কর্তৃক তল্লাশী ।
ধারা-১৬৭ঃ পুলিশ রিমান্ড ।
২৪ ঘন্টার তদন্ত কার্য সম্পন্ন করা না গেলে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ম্যজিস্ট্রেটের নিকট অগ্রবর্তী করতে হবে।—————————————————————————————————–
ধারা-১৭২ঃ কেস ডায়েরী।
পুলিশ তদন্তের অগ্রগতি যে ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে পুলিশ ডায়েরী বলে। ফৌজদারী আদালত অনুসন্ধান বা বিচারাধীন কোন মামলায় পুলিশ ডায়েরী চেয়ে পাঠাতে পারে। এই ডায়েরী সাক্ষ্য হিসেবে নয় তবে অনুসন্ধান বা বিচারের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
পুলিশ ডায়েরী সাক্ষ্য আইনের ১৫৯ ধারায় স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করতে ও ১৪৫ ধারায় জেরা হিসেবে ব্যবহার হতে পারে
ধারা-১৭৩ঃ পুলিশ রিপোর্ট বা প্রতিবেদন ।
তদন্ত কার্যক্রম পুলিশ কর্তৃক আদালতে যে প্রতিবেদন দাখিলকরেতাকে পুলিশ রিপোর্ট বলে।
ঈুলিশ রিপোর্ট ২ প্রকার। যথা-
(১) চুড়ান্ত প্রতিবেদন বা ফাইনাল রিপোট যাকে আদালতের ভাষায় এফ আর টি বলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরাধের সত্যতা খুজে না পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যহতি দেয়ার সুপারিশ করে এফ আর টি দাখিল করে।
(২) চার্জশীট বা অভিযোগ পত্র ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরাধের সত্যতা খুজে পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করে
ধারা-১৭৪(১)ঃ পুলিশ কর্তৃক সুরতহাল রিপোর্ট ।
ধারা-১৭৪(৩)ঃ ময়না তদন্ত রিপোর্ট ।
ধারা-১৭৬(১)ঃ পুলিশ হেফাজতে মারা গেলে ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক রিপোর্ট ।
পুলিশ হেফজতে মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তদন্ত করার ক্ষমতা।
ধারা-১৭৬(২)ঃ ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক কবর থেকে লাশ উত্তোলন ।
কবর থেকে লাশ উত্তোলন করতে পাওে ম্যাজিস্ট্রেট ।
ধারা-১৯০ঃ Code of Criminal Procedure মোতাবেক ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক অপরাধ আমলে নেওয়া।
ছীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট,মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট,চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাবান ২য় শ্রেনীর ম্যাজিন্ট্রেট ৩ ভাবে মামলা আমলে নিতে পারে।
ক্স পুলিশ রিপোট পেয়ে ( জি আর কেস)
ক্স নালিষের মাধ্যমে ( সি আর কেস)
ক্স ম্যাজিস্ট্রেট নিজ জ্ঞানে।
ধারা-১৯৩ঃ দায়রা আদালত কর্তৃক অপরাধ আমলে নেওয়া।
দায়রা আদালত সরাসরি কোন মামলা আমলে নিতে পারে না। তবে ম্যাজিস্ট্রেট মামলা আমলে নেয়ার পওে যে সকল মামলা দায়রা আদালতে বিচার্য সে সকল মামলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক দায়রা আদালতে প্রেরিত হলে তদক্ষেত্রে দায়রা আদালত নিবেন।
ধারা-২০০ঃ ম্যজিষ্ট্রেট বা আদালতে নালিশ।
কোর্টে সরাসরি মামলা দায়ের করলে অভিযোগকারীকে হলফপুর্বক জবানবন্দী নেয়ার মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট নালিশী মামলা আমলে নিতে পারে।
ধারা-২০১ঃ নালিশ ফেরত।
ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ২০০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করলে ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন যে দায়েরকৃত মামলা আমলে নেয়া তার এখতিয়ার নয় তবে ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীকে যথাযথ আদালতে যাওয়ার জন্য বলবেন এবং নালিশীটি ফেরত দিবেন। নালিশ ফেরত দেয়ার কালে নালিশী আবেদনের পিছনে পৃষ্টাংকন পুর্বক নালিশী আবেদন ফেরত দেয়ার কারন উল্লেখ করবেন।
ধারা-২০২ঃ পরোয়ানা বা ওয়ারেন্ট ইসু স্থগিত রাখার নির্দেশ।
কার্টে সরাসরি মামলা দায়ের করলে অভিযোগকারীকে হলফপুর্বক জবানবন্দী ও নালিশী আবেদন পরীক্ষআ করার পর ম্যাজিস্ট্রেটের যদি সন্দেহ হয় যে নালিশটি সঠিক নয় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট পরোয়ানা বা ওয়ারেন্ট ইসু স্থগিত করে অনুসন্ধান বা তদন্তের আদেশ দিতে পারে।
ধারা-২০৩ঃ নালিশ খারিজ।
অনুসন্ধান বা তদন্তের পর যদি মামলার সত্যতা না পাওয়া যায় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অত্র ধারার বিধান বলে নালিশ খারিজ করার আদেশ দিতে পারে।
ধারা-২০৪ঃ পরোয়ানা বা ওয়ারেন্ট প্রেরন এর নির্দেশ।
১৯০ ধারার বিধান বলে ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিলে অপরাধের গুরত্ব বিবেচনায় ওয়ারোট বা সমন ইসু করবেন। অত্র ধারায় ওয়ারেন্ট বা সমন ইসুর খরচাদি অপরিশোধিত থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি খারিজ করে দিতে পারে।
ধারা-২০৫ঃ আসামীর ব্যাক্তিগত হাজির হওয়া থেকে রেহাই।
আইনজীবীর মাধ্যমে আসামীর ব্যক্তিগত হাজিরা দেয়া যেতে পারে যদি আদালত অনুমতি দেন।
ধারা-২০৫(গ)ঃ বিচারের জন্য দায়রা আদালতে প্রেরন।
আমলে গ্রহনকারী ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার্য তদক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি দায়রা আদালতে প্রেরন করবেন।
ধারা-২০৫ (গগ)ঃ বিচারের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন ।
আমলে গ্রহনকারী ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন মামলাটি যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য তদক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি সে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করবেন।
ধারা-২০৫ (ঘ)ঃ ম্যজিষ্ট্রেট কর্তৃক অনুসন্ধান স্থগিত ।
ম্যাজিস্ট্রেট যদি দেখেন যে নালিশী মামলা সম্পর্কে পুলিশী তদন্ত চলছে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তার কার্যক্রম স্থগিত করে পুলিশ রিপোট তলব করবেন।
ধারা -২২১ : অভিযোগে অপরাধের বিবরন থাকবে।
ধারা -২২২ : অভিযোগে সময়,স্থান ও ব্যক্তি সম্পর্কে বিবরন থাকবে।
ধারা -২২৪ : যে আইনের অধীন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার বিবরন থাকবে।
ধারা -২২৭ : Code of Criminal Procedure মোতাবেক রায় প্রকাশের পুর্বে যে কোন সময় অভিযোগ পরিবর্তন।
রায় ঘোষনার পুর্বে আদালত অভিযোগ পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারে। অভিযোগ পরিবর্তন হলে আদালত অভিযোগের পরিবর্তনের বিষয় অঅসামীকে পড়াইয়ে শুনাবেন।
অভিযোগ পরিবর্তনের বিষয়ে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৩৩৯ক ধারার বিধান মতে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়।
ধারা -২৩১ : Code of Criminal Procedure মোতাবেক অভিযোগ পরিবর্তিত হলে সাক্ষীকে পুনরায় তলব।
ধারা -২৩৩ ঃ: পৃথক অপরাধের জন্য পৃথক অভিযোগ।
ধারা -২৩৪ : একই ধননের তিনটি অপরাধ এক বছরের মধ্যে সংঘটিত হলে তৎক্ষেত্রে একত্রে চার্জ গঠন করা যেতে পারে।
ধারা -২৩৫ : Code of Criminal Procedure মোতাবেক একাধিক অপরাধের বিচার।
ধারা -২৩৬ ঃ কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তৎক্ষেত্রে সন্দেহ থাকিলে
ধারা -২৩৭ ঃ এক অপরাধের চার্জ গঠন করে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে অন্য অপরাধে দন্ডিত করা যেতে পারে।
ধারা -২৩৯ : Code of Criminal Procedure মোতাবেক যেই ব্যক্তিদের একত্রে অভিযুক্ত করা যায়।
ধারা -২৪০ : একাধিক অপরাধের একটিতে দন্ডিত হলে অবশিষ্টগুলি প্রত্যাহার।
ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচার পদ্ধতিঃ
ধারা -২৪১(ক) : Code of Criminal Procedure মোতাবেক চার্জ বিষয়ে শুনানীর পর আসামীকে অব্যাহতি।
মামলার নথী ও দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা কওে,পয়োজন হলে আসামীর জবানবন্দী গ্রহন করে,ফরিয়াদী ও আসামীর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে অব্যাহতি দিতে পারে।
প্রতিকার : আসামীকে অব্যাহতি দিলে ফরিয়াদী Code of Criminal Procedure ৪৩৫/৪৩৯ক ধারার বিধান মতে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়।
ধারা -২৪২ ঃ চার্জ গঠন।
মামলার নথী ও দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা করে,পয়োজন হলে আসামীর জবানবন্দী গ্রহন করে,ফরিয়াদী ও আসামীর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে আসামী অপরাধ করেছে মনে করলে ম্যাজিস্ট্রেট আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ গঠন করবেন।
অভিযোগ গঠিত হলে আসামীকে পড়াইয়ে শুনাতে হবে,ব্যাখা করতে হবে এবং আসামীকে জিজ্ঞাস করতে হবে যে সে অপরাধ বা দোষ স্বীকার করে কিংবা বিচার প্রার্থনা করে কি-না।
ধারা -২৪৩ ঃ দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দন্ড।
আসামী যদি দোষ স্বীকার কওে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীর ভাষায় মোষ স্বীকার লিপিবদ্ধ করবেন এবং কেন সে দন্ডিত হবে না সে সম্পর্কি যদি পর্যাপ্ত কারন না দর্শায় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে দন্ড দান করবেন। তবে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৪৩৯ক ধারার বিধান মতে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়।
বিঃ দ্র ঃ সোষ স্বীকারের ক্ষেত্রে দন্ডের পরিদান বা বৈধতা ব্যতিত উক্ত দন্ডের বিরুদ্ধে আপীলের কোন সুযোগ নেই। তবে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৪৩৯ক ধারার বিধান মতে দায়রা আদালতে রিভিশন দায়ের করা যায়।
ধারা -২৪৪ ঃ অভিযোগ অস্বীকার করলে সাক্ষ্যগ্রহন।
ফরিয়াদী পক্ষের জবানবন্দী ও সাক্ষী,আসামী বক্তব্য এবং আসামীর পরীক্ষার অত্র ধারার বিধান ।
ধারা -২৪৫(১) ঃ খালাস।
আসামীর বিরদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত না হলে অত্র ধারার বিধান বলে আসামীকে খালাশ দেয়া হয়।
ধারা -২৪৫(২) ঃ দন্ড।
আসামীর বিরদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হলে অত্র ধারার বিধান বলে আসামীকে দন্ড দেয়া হয়।
ধারা -২৪৭ ঃ ফরিয়াদী উপস্থিত না হলে আসামী খালাস দিতে পারে।
নালিশী মামলা ফরিয়াদী অঅদালতে অনুপস্থিত থাকলে আদালত ইপযুক্ত মনে করলে আসামীকে খালাশ দিতে পারেন। তবে ফরিয়াদী সরকারী কর্মচারী হলে তদক্ষেত্রে সে হাজির না হলেও ম্যাজিস্ট্রেট মামলায় পরবর্তী অগ্রসর হতে পারেন।
ধারা -২৪৮ ঃ নালিশ প্রত্যাহার হলে আসামী খালাস।
চুড়ান্ত আদেশের পুর্বে ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তোষ্ট হন যে ফরিয়াদীকে মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়ার পর্যাপ্ত কারন আছে তাহলে অনুমতি দিবেন। এক্ষেত্রে আসামী খালাশ বলে গন্য হবেন।
ধারা -২৪৯ ঃ নালিশ ব্যতিত অন্য কোন মামলায় বা জি আর মামলায় ম্যজিষ্ট্রেট বিচার কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেন এবং আসামীকে মুক্তি দিতে পারেন।
নালিশ ব্যতিত অন্য কোন মামলায় ফরিয়াদী অনুপস্থিত থাকলে মামলার যে কোন পর্যায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ করতে পাওে াবেং আসামীকে মুক্তি দিতে পারে।
বি ঃ দ্র ঃ- দায়রা আদালতের এইরুপ কোন ক্ষমতা নাই।
ধারা -২৫০ ঃ মিথ্যা, তুচ্ছ বা বিরক্তিকর মামলায় আসামীকে কারন দর্শাইতে পারে,জনিমানা করতে পাওে এবং বিনাশ্রম কারাদন্ড দিতে পারে।
ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা,তুচ্ছ বা বিরক্তিকর হলে তিনি অঅসামীকে অব্যাহতি এবং খালাশ আদেশের পাশাপাশি অভিযোগকারীকে কারন দর্শাইতে বলবেন যে কেন আসামীকে বা আসামীদেরকে ক্ষতিপুরন দিবেন না। আসামীকে ক্ষতিপুরনের জন্য অনধিক ১০০০/ টাকা এবং তৃতীয় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট হলে অনধিক ৫০০/ টাকা ক্ষতিপুরনের জন্য অভিযোগকারীকে নির্দেশ দিতে পারেন।্উক্ত ক্ষতিপুরন প্রদানের র্ব্য্থতায় অনধিক ৩০দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিতে পারেন। এছাড়াও অভিযোগকারী ৬ মাসের জেল এবং সর্বোচ্চ ৩০০০/ টাকা জরিমানার আদেশ দিতে পারেন।
বি ঃ দ্র ঃ- ১০০/ টাকার বেশী ক্ষতিপুরনের আদেশ দিলে সংক্ষিব্ধ ব্যক্তি দায়রা আদালতে আপীল দায়ের করতে পারে। ধারা-২৫০(৩)। ক্ষতিপুরন দানের আদেশ আপীল দায়েরের সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত অথবা উক্ত আপীল দায়ের করা হলে তা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এবং আপীলযোগ্য না হলে উক্ত আদেশের দিন থেকে এক মাস অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপুরন দেয়া হবে না।
দায়রা আদালতের বিচার পদ্ধতিঃ
ধারা-২৬৫ (ক) ঃ পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনা করবে।
সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনা করবেন।
ধারা-২৬৫ (খ) ঃ পাবলিক প্রসিকিউটর কর্তৃক শনানী শুরু।
সরকার পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা শুনানী শুরু করবেন।
ধারা-২৬৫ (গ) ঃঅভিযোগ শুনানীর পর আসামীর অব্যাহতি
মামলার নথী ও দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা কওে,পয়োজন হলে আসামীর জবানবন্দী গ্রহন করে,ফরিয়াদী ও আসামীর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীকে অব্যাহতি দিতে পারে।
প্রতিকার ঃ আসামীকে অব্যাহতি দিলে ফরিয়াদী ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৪৩৯ ধারার বিধান মতে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা যায়।
ধারা-২৬৫ (ঘ) ঃ অভিযোগ গঠন।
মামলার নথী ও দাখিলকৃত কাগজপত্র বিবেচনা করে,পয়োজন হলে আসামীর জবানবন্দী গ্রহন করে,ফরিয়াদী ও আসামীর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে আসামী অপরাধ করেছে মনে করলে ম্যাজিস্ট্রেট আনুষ্ঠানিক ভাবে অভিযোগ গঠন করবেন।
অভিযোগ গঠিত হলে আসামীকে পড়াইয়ে শুনাতে হবে,ব্যাখা করতে হবে এবং আসামীকে জিজ্ঞাস করতে হবে যে সে অপরাধ বা দোষ স্বীকার করে কিংবা বিচার প্রার্থনা করে কি-না।
ধারা-২৬৫ (ঙ) ঃ দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে দন্ড।
আসামী যদি দোষ স্বীকার কওে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট আসামীর ভাষায় মোষ স্বীকার লিপিবদ্ধ করবেন এবং কেন সে দন্ডিত হবে না সে সম্পর্কি যদি পর্যাপ্ত কারন না দর্শায় তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে দন্ড দান করবেন। তবে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৪৩৯ ধারার বিধান মতে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা যায়।
বিঃ দ্র ঃ দোষ স্বীকারের ক্ষেত্রে দন্ডের পরিদান বা বৈধতা ব্যতিত উক্ত দন্ডের বিরুদ্ধে আপীলের কোন সুযোগ নেই। তবে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪৩৫/৪৩৯ ধারার বিধান মতে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা যায়।
ধারা-২৬৫ (চ) ঃ সাক্ষী গ্রহনের জন্য তারিখ নির্ধারন।
সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য দিন নির্ধারন করবেন।
ধারা-২৬৫ (ছ) ঃ বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন শুরু।
ধারা-২৬৫ (জ) ঃ ফরিয়াদী পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহনের পর আসামী খালাস।
ধারা-২৬৫ (ঝ) ঃ খালাস দেওয়া না হলে আসামীপক্ষে সাক্ষ্যগ্রহন।
ধারা-২৬৫ (ঞ) ঃ যুক্তিতর্ক।
ধারা-২৬৫ (ট ঃ দন্ড বা খালাস।
ধারা-৩৩৭ ঃ দুষ্কর্মের সহযোগীকে ক্ষমা প্রদর্শন।
ধারা-৩৩৯(খ) ঃ আসামীর আনুপস্থিতিতে বিচার।
ধারা-৩৪০ ঃ আাসামীর আত্মপক্ষ সমর্থন ও সাক্ষী হওয়ার যোগ্যতা।
ধারা-৩৪২ ঃ আসামীর জবান বন্দী গ্রহন বা সাফাই সাক্ষী ।
ধারা-৩৪৪ ঃ মামলান কার্যক্রম যখন মুলতবি বা স্থগিত করা যায়।
ধারা-৩৪৫ ঃ কতিপয় অপরাধের আপোষ নিস্পত্তি।
ধারা-৩৬৪ ঃ আসামীর জবান বন্দী লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি।
ধারা-৫২৬ ঃ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মামলা স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের ক্ষমতা ।
ধারা-৫২৬-খ ঃ দায়রা আদালত কর্তৃক মামলা স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের ক্ষমতা ।
ধারা-৫২৮(১)ঃ দায়রাজজ কর্তৃক যুগ্মদায়রা জজের নিকট হতে মামলা প্রত্যাহার বা অতিরিক্ত দায়রা জজ এর নিকট থেকে মামলা বা আপীল প্রত্যাহার ।
ধারা-৫২৮(২) ঃ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক তার অধঃস্তন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হতে মামলা স্থানান্তর বা প্রত্যাহারের ।