দেওয়ানী কার্যবিধি প্রথম প্রকাশ : ২১ শে মার্চ ১৯০৮।
প্রথম কার্যকর :- ১ লা জানুয়ারী ১৯০৯।
মোট ধারা- ১৫৮ টি ( ৩টি বাতিল)
মোট আদেশ- ৫১ টি ( ১টি বাতিল)
মোট তফসিল- ৫ টি
দেওয়ানী কার্যবিধি একটি পদ্ধতিগত আইন তবে মুল আইন ও পদ্ধতিগত আইনের সংমিশ্রন বলা শ্রেয়।
আরা-২ :সংজ্ঞাসমুহ ।
ধারা-৩ : আদালতের ক্রমানুমানিতা ।
-জেলা আদালত হাইকোট ডিভিশনের অধীন
-জেলা আদালতের অধীন নিম্ম পর্যাায়ভুক্ত সকল দেওয়ানী আদালত ।
ধারা-১০ : রেস সাবজুডিস বা মোকদ্দমা স্থগিতকরন।
১০ ধারার বিধান মতে-“ কোন আদালত এমন কোন মোকদ্দমার বিচার করিবেন না যাহার বিষয়বস্তু একই পক্ষ বা তাদের স্থলবর্তীদের মধ্যে বাংলাদেশের কোন আদালতে বা বাংলাদেশের আওতাধীন কোন আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে। ”
শব্দগত :দেওয়ানী কার্যবিধি রেস একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ বিষয় এবং সাবজুডিস অর্থ আদালতে বিচারাধীন/চলমান/বিবেচনাধীন। সুতারং রেস সাবজুডিস অর্থ আদালতের বিবেচনাধীন বিষয়।
বিধানগত :রোমান আইনের রেস সাবজুডিস এর বিধান দেওয়ানী কার্যবিধির ১০ ধারায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মোকদ্দমা স্থগিতকরন হিসেবে।
উদ্দেশ্য :একই পক্ষগনের সহিত একই বিষয়বস্তু নিয়ে দুটি মোকদ্দমার বিচার করা রোধ করাই অত্র ধারার মুল উদ্দেশ্য।
বৈশিষ্ট্য :
১। পুর্বে এবং পরে দুই আদালতে দুটি মোকদ্দমা বিচারাধীন থাকতে হবে।
২। একই পক্ষ বা তাদের স্থলবর্তীদের মধ্যে মোকদ্দমা দুটি বিচারাধীন থাকতে হবে।
৩। একই বিষয়বস্তু হতে হবে।
৪। আদালত দুটি সমএখতিয়ার সম্পন্ন হতে হবে।
৫। একই স্বত্বাগাম হতে হবে।
এমসিকিউ প্রাকটিস :
১। নিচের কোনটি রেস সাবজুডিসের বৈশিষ্ট?
ক) সম এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত খ) অভিপ্রায়ের ভিন্নতা গ) অভিন্ন স্বত্তগাম ঘ) ক ও গ উভয়ই । উত্তর : (ঘ)
২। রেস সাবজুডিস কি? ক) মামলার বিচারে বাধা খ) Stay of Suit গ) মোকদ্দমা স্থগিতকরণ ঘ) সবগুলো। উত্তর : (ঘ)
৩। রেস সাবজুডিস একটি- ক) আরবি শব্দ খ) ল্যাটিন শব্দ গ) ফারাসি শব্দ ঘ) ফ্রান্স শব্দ । উত্তর ঃ (খ)
৪। রেস সাব জুডিসের কারণে কোন মোকদ্দমাটি স্থগিত হইবে? ক) পূর্ববর্তী মোকদ্দমাটি খ) পরবর্তী মোকদ্দমাটি গ) ক ও খ উভয়ই ঘ) উপরোক্ত সবগুলো। উত্তর : (খ)
গ) কোনটাই নয় ঘ) পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল হইবে। উত্তর : (খ)
৬। রেস সাব জুডিসের উদ্দেশ্য কি? ক) ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা খ) মামলার বহুতা রোধ করা গ) একাধিক ডিক্রী হওয়া থেকে বিরত রাখা ঘ) উপরোক্ত সবগুলো। উত্তর : (ঘ)
৭।পূর্ববর্তী আদালতটি যদি বিদেশী আদালতে হয় তাহলে রেস সাবজুডিসের বিধান কি? ক) রেস সাবজুডিস প্রযোজ্য হইবে খ) পরবর্তী মামলাটি স্থগিত হইবে গ) পরবর্তী মামলাটি স্থগিত হইবে না ঘ) উপরোক্ত কোনটাই নয়। উত্তর :(গ)
৮। জবং অর্থ কী? ক) বিষয় খ) বিষয় বস্ত গ) বিবেচনা ঘ) স্থগিত করণ । উত্তর ঃ (ক)
৯। রেস সাবজুডিসের বৈশিষ্ট কি?
ক) অভিন্ন পক্ষ খ) সম এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত গ) একই স্বত্তাবান ঘ) উপরোক্ত সবগুলো। উত্তর ঃ (ঘ)
ধারা-১১ঃ রেস জুডিকেটা বা প্রাকসিদ্ধান্ত বা নিষ্পর্ত্তিকৃত বিষয়।
১১ ধারার বিধান মতে-“ কোন আদালত এমন কোন মোকদ্দমার বিচার করিবেন না যাহার বিষয়বস্তু একই পক্ষ বা তাদের স্থলবর্তীদের মধ্যে পুর্বে নিষ্পত্তি হয়েছে। ”
শব্দগত : রেস একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ বিষয় এবং রেস জুডিকেটা অর্থ আদালতে প্রাকসিদ্ধান্ত বা পুর্বে নিষ্পত্তিকৃত । সুতারং রেস জুডিকেটার অর্থ আদালতের পুর্বে নিষ্পত্তিকৃত বিষয়।
উদ্দেশ্য :
১। রাষ্ট্রের সার্থে মোকদ্দমার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ।
ক) সম এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত খ) অভিপ্রায়ের ভিন্নতা গ) অভিন্ন স্বত্তগাম ঘ) ক ও গ উভয়ই । উত্তর : (ঘ)
২। রেস জুডিকেটা একটি- ক) আরবি শব্দ খ) ল্যাটিন শব্দ গ) ফারাসি শব্দ ঘ) ফ্রান্স শব্দ । উত্তর ঃ (খ)
৩। রেস জুডিকেটার বৈশিষ্ট কি?
ক) অভিন্ন পক্ষ খ) সম এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত গ) একই স্বত্তাবান ঘ) উপরোক্ত সবগুলো।
উত্তর : (ঘ)
৪।রোমান আইনের নীতি কোনটি? ক) রাষ্ট্রের স্বার্থে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হওয়া উচিত খ) কাউকে দ্বিতীয়বার বিরক্ত করা যাবে না গ) আদালতের পূর্বের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলিয়া মানিয়া লওয়া ঘ) উপরোক্ত সবগুলো। উত্তর : (ঘ)
ধারা-১২ঃ । মোকদ্দমা পুনঃদায়েরে বাধা।
ধারা-১৫ :দেওয়ানী কার্যবিধি মোতাবেক প্রত্যেকটি মোকদ্দমা সর্বনিম্ম আদালতে দায়ের করতে হবে।
আইনগত বিধানঃ সর্বনিম্ম বলতে আর্থিক ও আঞ্চলিক এখতিয়ার সম্পন্ন সর্ব নিম্ম আদালত।
উদাহরনঃ ১। দেওয়ানী কার্যবিধি মোতাবেক মোকদ্দমা কোথায় দায়ের করতে হয়?
(১) সর্বনিম্ম আদালতে (খ) আর্থিক ও আঞ্চলিক এখতিয়ার সম্পন্ন সর্ব নিম্ম আদালত (গ) দেওয়ানী যে কোন আদালতে (ঘ) সবগুলি। উত্তরঃ (খ)
ধারা-১৬ : প্রত্যেকটি মোকদ্দমার বিষয়বস্তু যে আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত সে আদালতে দায়ের করতে হবে।
আইনগত বিধানঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৬-১৮ স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে মোকদ্দমা দায়ের সম্পার্কিত বিধান আলোচেনাকরা হয়েছে।সে আলোকে বিষয়বস্তু যেখানে মোকদ্দমা হবে সেখানে।অর্থাৎ দেওয়ানী মোকদ্দমার বিষয়বস্তু যে আদালতের এখতিয়াওে অবস্থিত সে আদালতে মোকদ্দম্ দায়ের করতে হবে।
স্থাবর সম্পত্তি যেমনঃ-১। স্থাবর সম্পত্তির বাটোয়ারা,পুনঃরুদ্ধার,ভাড়া বা মুনাফা সহ বা ব্যতিরেকে,স্থাবর সম্পত্ওি ক্ষতিপুনের,দেনার দায়ে ক্রোক এবং ষ্থাবর সম্পত্তিতে অন্য কোন অধিকার সংক্রান্ত মোকদ্দমা। ২। স্থাবর সম্পত্তির বন্ধক সম্পর্কিত পাওনা আদায়,নিলাম বিক্রয় ও রেহেন খালাশের মোকদ্দমা।
ধারা-১৭ : বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে।
আইনগত বিধানঃ দায়েরকৃত মোকদ্দমার সম্পত্তি যদি বিভিন্ন আদালতের এখতিয়াওে অবস্থিত হয়,সেক্ষেত্রে ঐ সম্পত্তির অংশ বিশেষ যে যে আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত সেরুপ যে কোন আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা যেতে পারে। তদক্ষেত্রে মোকদ্দমার বিষয়বস্তুও মুল্য সম্পর্কে সমগ্র দাবীটিই উক্তরুপ আদালতে বিচারার্থে গ্রহন করতে পারে।
আইনগত বিধানঃ দায়েরকৃত মোকদ্দমার সম্পত্তি যদি দু ইবা ততোধিক আদালতের এখতিয়ারে অবস্থিত কোনটির স্থানীয় সীমানার এখতিয়াওে অবস্থিত সে সম্পর্কে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে যে কোন একটি আদালতে দায়ের করা যায়।
ধারা-১৯ : অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতিপুরনের মোকদ্দমা।
আইনগত বিধানঃ ব্যক্তি বা অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষতিপুরনের ক্ষেত্রে যেখানে মোকদ্দমার কারন উদ্ভব হয় বা বিবাদী যেখানে বসবাস কওে বা ব্যাবসা বানিজ্য কওে বা কোন লাভ জনক কাজ কওে সেখানে মোকদ্দমা দায়ে করতে হবে।
আদেশ ১ বিধি ৩ -আদালত কোনপক্ষের নাম কেটে দিতে পাওে বা সংযোজন করতে পারে।
আদেশ ৩ বিধি ৪ – উকিল নিয়োগ।
আদেশ ৫ বিধি ১ – সমনে বিচারকের স্ক্ষর ও আদালতের সিলমোহর থাকে।
আদেশ ৫ বিধি ২ – সমনের সাথে আরজীর নকল।
আদেশ ৫ বিধি ১০ – সমন জারীর পদ্বতি।
আদেশ ৫ বিধি ২০ – বিকল্প সমন জারী।
আদেশ ৬ বিধি ১ – প্লিডিংস ( বাদীর আরজী বা বিবাদীর জবাব)।
আদেশ ৬ বিধি ১৭ – আরজী ও জবাব সংশোধন।
আদেশ ৭ বিধি ১ – আরজীতে যে সকল বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
আদেশ ৭ বিধি ২ – অর্থ আদায়ের মোকদ্দমা ও ক্ষতিপুরনের মোকদ্দমা ইত্যাদী।
আদেশ ৭ বিধি ৩ – যে ক্ষেত্রে মোকদ্দমার বিষয়বস্তু স্থাবর সম্পত্তি।
আদেশ ৭ বিধি ১০ – আেরজী ফেরত।
আদেশ ৭ বিধি ১১ – আরজী খারিজ।
আদেশ ৭ বিধি ১২ – আরজী খারিজ হলে যে ক্ষেত্রে নতুন মেকদ্দমা দাখিল করা যাবে।
আদেশ ৮ বিধি ১ – লিখিত জবাব।
আদেশ ৮ বিধি ৩ – অস্বীকৃতি সুস্পষ্ট হতে হবে।
আদেশ ৮ বিধি ৬ – সেটঅফ এবং পালাটা দাবী।
আদেশ ৮ বিধি ৮ – জবাবের নতুন অজুহাত।
আদেশ ৯ বিধি ৩ – বাদী ও বিবাদীর অনুপস্থিতে মোকদ্দমা খারিজ।
আদেশ ৯ বিধি ৪ – মোকদ্দমা পুনঃদাখিল অথবা বাদীর নতুন কওে মোকদ্দমা দাখিল।
আদেশ ৯ বিধি ৬ – একতরফা ডিক্রী।
আদেশ ৯ বিধি ৮ – বাদী ও বিবাদীর অনুপস্থিতে মোকদ্দমা খারিজ।
আদেশ ৯ বিধি ৯ – বদী মোকদ্দমা পুনরুজ্জীবনের মামলা করতে পারে( তবে বাদী নতুন কওে মোকদ্দমা করতে পারবে না)।
আদেশ ৯ বিধি ১৩ – একতরফা ডিক্রী রদের আবেদন।
আদেশ ১০ বিধি ১ – আদালত কর্তৃক পক্ষগনের জবানবন্দী।
আদেশ ১১ – আবিষ্কার।
আদেশ ১৩ – দলিল দাখিল,আটক ও ফেরত।
আদেশ ১৪ – বিচার্য বিষয়।
আদেশ ১৫ – প্রথম শুনানীর তারিখে মোকদ্দমা নিস্পত্তি।
আদেশ ১৬ – সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির বা দলিল দাখিল।
আদেশ ১৭ – শুনানী মুলতবি।
আদেশ ২০ – রয়ি ও ডিক্রী।
আদেশ ২১ – ডিক্রীজারীর বিধান।
আদেশ ২২ বিধি ১ – কোন পক্ষের মৃত্যুর ফলে মোকদ্দমা সষ্ট হবে না।
আদেশ ২২ বিধি ৩ – বাদী পক্ষের মৃত্যুর ফলে কয়েম মোকাম করতে হবে।
আদেশ ২২ বিধি ৪ – বিবাদী পক্ষের মৃত্যুর ফলে কায়েম মোকাম করতে হবে।
আদেশ ২৩ বিধি ১ – মোকদ্দমা প্রত্যাহার বা আদালতের অনুমতিক্রমে নতুন মোকদ্দমা দায়ের বা আংশিক দাবী বর্জন।
আদেশ ২৩ বিধি ৩ – মোকদ্দমার আপোষ নিষ্পত্তি বা সোলে ।
আদেশ ২৬ বিধি ৯ – সরজমিনে তদন্ত।
আদেশ ২৬ বিধি ১৩ – বাটোয়ারা মোকদ্দমার জন্য কমিশন ।
আদেশ ৩২ বিধি ১ – নাবালোকের পক্ষে তার অভিভাবক মোকদ্দমা করবে।
আদেশ ৩৩ বিধি ১ -পপার কর্তৃক মোকদ্দমা।
আদেশ ৩৫ বিধি ১ – ইন্টারপ্লিডার মোকদ্দমা।
আদেশ ৩৮ বিধি ৫ – রায়ের পুর্বে ক্রোক।
আদেশ ৩৯ বিধি ১/২ – অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত।
আদেশ ৩৯ বিধি ৩ – নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের পুর্বে অপর পক্ষকে নোটিশ।
আদেশ ৩৯ বিধি ৪ – নিষেধাজ্ঞার আদেশ অবসান,পরিবর্তন বা রদ।
আদেশ ৩৯ বিধি ৭ – স্থানীয় তদন্ত।
আদেশ ৪০বিধি ১ – রিসিভার নিয়োগ।
আদেশ ৪১ বিধি ১ – আপীল।
আদেশ ৪৩ বিধি ১ – ীেিদশের বিরুদ্ধে আপীল।
আদেশ ৪৭ বিধি ১ – রিভিউ।
দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের সংখ্যাত্মক বিষয়াবলী:
১। ডিক্রি কত প্রকার? উত্তরঃ ২ প্রকার। ১। প্রাথমিক ডিক্রি ২। চ‚ড়ান্ত ডিক্রি।
২। আদালতের বিচারকৃত সিদ্ধান্ত কত প্রকার? উত্তর ২ প্রকার। ১। ডিক্রি ২। আদেশ
৩। দেওয়ানী অধিক্ষেত্রকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? ক) ৩ টি ভাগে ১। বিষয়বস্তুগত ২। আর্থিক ৩। আঞ্জলিক
৪। দেওয়ানী আদালত কত প্রকার? উত্তরঃ ৫ প্রকার। ১। সহকারী জজ ২। সিনিয়র সহকারী জজ ৩। যুগ্ম জেলা জজ ৪। অতিঃ জেলা জজ ৫। জেলা জজ
৫। দেওয়ানী কার্যবিধি প্রকৃতিগত দিক থেকে দোবারা বা রেস জুডিকাটা কত প্রকার? উত্তরঃ ২ প্রকার ১। প্রত্যক্ষ ২। পরোক্ষ
৬। দোবারা দোষ বা রেস কুডিকাটা বা মামলা বিচারে বাধানীতি কতটা রোমান সূত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত?
ক) উত্তর ২ টি ১। একই বিষয়ে কাউকে দুইবার উত্যপ্ত করা যাবে না। ২। রাষ্ট্রের স্বার্থেই মোকদ্দমা সমাপ্ত হওয়া উচিত
৭। দোবারা দোষ বা রেস জুডিকাটা বা মামলা বিচারে বাধা নীতির কতটিব্যখ্যা আছে?উত্তরঃ৬ টি।
০৮। রেস- সাবজুডিস বা মামলা দায়েরে বাধা নীতির কতটি ব্যখ্যা আছে?উত্তরঃ ১ টি।
৯। মোকদ্দমা গ্রহণের দিক দিয়ে দেওয়ানী আদলত কত প্রকার? উত্তরঃ২ প্রকার (১) মূল মোকদ্দমা গ্রহণ (২) আফীল গ্রহণ
১০। দোবারা দোষ বা রেস-জুডিকাটা বা মামলা বিচারে বাধা নীতির কতটি শর্ত আছে? উত্তরঃ ৫টি
১১। কয়টি ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে মামলার পক্ষ হবার জন্য যুক্ত করা যায়? উত্তরঃ ২টি । ১। বাদী হিসাবে পক্ষ ২ । বিবাদী হিসেবে পক্ষ
১২। আদালতের আদেশ হবার পর পিডিং/ আরজি / জবাব সংশোধনের সর্বোচ্ছ সময় কত দিন? উত্তরঃ১৪ দিন।
১৩। কয়টি ক্ষেত্রে বিদেশী রায় প্রয়োজ্য নয়?উত্তরঃ ৬টি । ১। রায় উপযুক্ত আদালত কর্তৃক না হলে ২। রায় মোকদ্দমার শুনাশুনের উপর ভিক্তি করে প্রদত্ত না হলে ৩। রায় আন্তজার্তিক ও বাংলাদেশী আইনের পরিপন্থি হলে ৪। রায় স্বাভাবিক বিচারের পরিপন্থি হলে ৫। রায় প্রতারণা
১৪। একটি আরজির কয়টি অংশ থাকে? উত্তর : ৩ টি । ১। আরজির শিরোনাম ও নামপত্র ২। আরজির কাঠামো ৩। মোকদ্দমার দাবীর প্রতিকার।
১৫। আরজির কাঠামো কয় ভাগে বিভক্ত? উত্তরঃ ২টি ভাগে। ১। সাধারণ ২। আরজির বিষয়বস্তু অংশ।
১৬। আরজি জবাব / প্লিডিং কয় ভাগে বিভক্ত? উত্তরঃ ২টি ভাগে ১। বাদী কর্তৃক বাদীর আরজি জবাব বা প্লিডিং ২। বিবাদী কর্তৃক বিবাদীর আরজি জবাব বা প্লিডিং
১৭। আরচির প্রার্থনা অংশে / প্রত্যেক মোকদ্দমায় কমপক্ষে কতটি প্রার্থনা অবশ্যই থাকতে হবে?
উত্তরঃ ৩টি প্রার্থনা। ১। নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর স্বপক্ষে এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে এক স্বত্তে ঘোষণা ডিক্রি প্রচার ২। মোকদ্দমায় আদালত ব্যয় বাদীর স্বপক্ষে এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে ডিক্রি দিতে ৩। আইন, ন্যায়নীতি ও বৃহত্তর ন্যায়বিচারের স্বার্থে বাদী আর যে সকল প্রতিকার পায় তা দিবেন।
১৮। কয়টি কারণে আরজি খারিজ / প্রত্যাখান হয়? উত্তরঃ ৪টি । ১। আরজিতে কজ অব এ্যাকশান বা নালিশের কারণ না থাকলে ২। মামলার তায়দাদ বা ঠধষঁধঃরড়হ ঈড়ংঃ (ঠঝ) কম হলে ৩। কম মুল্যের স্ট্যাম্প দাখিল করলে ৪। আরজি আইন দ্বারা বারিত হইলে।
১৯। মামলার মূল্যমান বা আবশ্যকীয় স্ট্যাম্পে কত দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে? উত্তরঃ ২১ দিন।
২০। মামলা দাখিলের কত দিনের মধ্যে সমন ইস্যু করতে হবে? উত্তরঃ ৫দিন।
২১। সমন জারির দিন হতে কত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করতে হয়? উত্তরঃ ৩০ কর্ম দিন ।
২২। ৩০ কর্ম দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করতে না পারলে আদালত আর কত দিন সময় দিতে পারেন? উত্তরঃ ৩০ কর্মদিন।
২৩।সমন জারির দিন হতে আদালতের অনুমতিসহ মোট কত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিল করতে হয়? উত্তরঃ ৬০ কর্মদিন।
৪২। বিচার্য বিষয় নির্ধারণের পর আদালত কত দিনের মধ্যে মোকদ্দমার চ‚ড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য করবেন? উত্তরঃ ১২০ দিন।
৪৩। আবিষ্কার বা উদঘাটন কত প্রকার? উত্তরঃ ২প্রকার ১। জিঙ্গাসাবাদে উদঘাটন ২। দলিলে উদঘাটন।
৪৪। বিচার্য বিষয় প্রনয়নের কত দিনের মধ্যে এক পক্ষ অপর পক্ষকে প্রশ্নাবলী প্রদান করবেন? উত্তরঃ ১০ দিন।
৪৫। তথ্য উদঘাটনের জন্য মোকদ্দমায় একপক্ষ অপর পক্ষকে কত গুলো প্রশ্ন করতে পারবে? উত্তরঃ ১ সেট বা ১ প্রস্থ।
৪৬। প্রশ্নমালা প্রদানের অনুমোতির আবেদন আদালতে দাখিল করা হলে আদালত উক্ত আবেদন বা দরখাস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন কত দিনের মধ্যে? উত্তরঃ ১৪ দিন।
৪৭। প্রশ্নমালা রদ বা কর্তনের আবেদন প্রশ্নমালা জারির কত দিনের মধ্যে করতে হবে? উত্তরঃ ৭দিন
৪৮। প্রশ্নমালা জারির কত দিনের মধ্যে উত্তর প্রদান করতে হয়? উত্তরঃ ১০ দিন।
৪৯। দলিল পরিদর্শনের নোটিশ প্রাপ্তির কত দিনের মধ্যে নোটিশ গ্রহনকারীকে আরেকটি নোটিশ প্রদান করবেন? উত্তরঃ ১০ দিন।
৫০। দলিল উপস্থাপনের জন্য নোটিশ প্রাপ্তির কত দিনের মধ্যে নোটিশ গ্রহণকারী নোটিশ প্রদান কারীকে আরেকটি নোটিশ প্রদান করবেন? উত্তরঃ ৩দিন।
৫১।সিপিসি কোডের ১৮ আদেশের ১৯ বিধি অনুসারে চ‚ড়ান্ত শুনানীর দিন ধার্য্য হওয়ার কত দিনের মধ্যে আদালত মোকাদ্দমার শুনানী শেষ করবেন? উত্তরঃ ১২০ দিন।
৫২। শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখের কতদিন পূর্বে একপক্ষ অপর পক্ষকে মোকাদ্দমার তথ্যসমূহ স¦ীকারের জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন? উত্তরঃ ৯ দিন।
৫৩। শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখের পূর্বে একপক্ষ অপরপক্ষকে মোকদ্দমার তথ্যসমূহ স¦ীকারের জন্য নোটিশ প্রদান করিলে আদালত ভিন্ন মত প্রকাশ না করিলে অপর পক্ষ নোটিশ জারির কত দিনের মধ্যে নোটিশের উল্লেখিত তথ্য স্বীকার বা অস্বীকার বা অবহেলা করিতে পারেন? উত্তরঃ ৬ দিন।
৫৪।দোতরফা শুনানী বা চবৎবসঢ়ঃড়ৎু যবধৎরহম (চঐ) এর পূর্বে আদালত সর্বোচ্ছ কতটি শুনানী মূলতবীর আবেদন মঞ্জুর করতে পারবেন?উত্তরঃ ৬ টি।
৫৫। দোতরফা শুনানী বা চবৎবসঢ়ঃড়ৎু যবধৎরহম (চঐ) এর পর্যায়ে বা পরে শুনানী মূলতবী রাখার বিধান নাই। তবে উপযুক্ত কারণ সাপেক্ষে আদালত কতটি সময় মঞ্জুর করতে পারেন? উত্তরঃ ৩টি।
৫৮। মোকদ্দমার মূলতবী খরচ প্রদানে ব্যর্থতার কারনে মোকদ্দমা খারিজ বা একতরফা ডিক্রি হলে তা রদ করার জন্য কত দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়? উত্তরঃ ৩০ দিন।
৫৯। মোকদ্দমার মূলতবী খরচ প্রদানে ব্যর্থতার কারণে মোকদ্দমা খারিজ বা একতরফ ডিক্রি হলে তা রদ করার জন্য আদালত কত টাকা খরচ প্রদানের আদেশ দিতে পারেন? উত্তরঃ ২০০০ টাকা।
৬১। দেওয়ানি মোকাদ্দমায় বিবাদীকে সর্বোচ্ছ কত দিনের জন্য দেওয়ানি কয়েদে আটক রাখা যায়? উত্তরঃ ৬মাস।
৬২। দেওয়ানি মোকাদ্দমার বিষয়বস্তু যদি ৫০ টাকার বেশি নাহয় তবে উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদীকে সর্বোচ্ছ কত দিনের জন্য দেওয়ানি কয়েদে আটক রাখা যায়? উত্তরঃ ৬ সপ্তাহ ।
৬৩। যদি অস্থায়ী নিষেধাঙ্গার আদেশ কেউ অমান্য করে তবে আদালত তাকে কত দিনের জন্য দেওয়ানি কয়েদে আটক রাখার আদেশ দিতে পারে? উত্তরঃ ৬মাস।
৬৪। যদি অস্থায়ী নিষেধাঙ্গার আদেশ অমান্য করার কারণে আদালত সম্পত্তি কোক্রের আদেশ দেন তবে তা কত দিনের বেশি স্থায়ী হবে না? উত্তরঃ ১ বছর।
৬৫। দেওয়ানী আদালত কয়টি ক্ষেত্রে কমিশন ইস্যু করিতে পারেন? উত্তরঃ ৪ টি।
৬৬। সরেজমিনে তদন্তের জন্য করিশন প্রাপ্ত কমিশনার সর্বোচ্ছ কত দিনের মধ্যে রির্পোট প্রদান করিবেন? উত্তরঃ ৩মাস
৬৭। একটি মোকদ্দমায় আদালত কত বার কমিশন নিয়োগ করিতে পারেন? উত্তরঃ নির্ধারিত নাই।