ডিক্রী হল দেওয়ানী কার্যবিধির ২(২) ধারার বিধান মতে-পক্ষসমুহের মধ্যে মোকদ্দমার গুনাগুন বিচারে তকিত বিষয়ে পক্ষসমুহের অধিকার চুড়ান্ত ভাবে নিধারন করা ।
ডিক্রী প্রাথমিক ও চুড়ান্ত হতে পারে । আরজি খারিজ ও প্রত্যার্পনের আদেশ ডিক্রীতুল্য । তবে নিম্মলিখিত বিষয়ের ক্ষেত্রে ডিক্রীর অর্ন্তভুক্ত হবে না – (১) যে রায় নির্নয় কারী রায়ের বিরুদ্ধে বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের ন্যয় আপীল করা যেতে পারে, (২) আদালতের কিান নিয়ম বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ।
প্রকার : ডিক্রী মুলত ২ প্রকার । যথা- ১। প্রাথমিক ,২। চুড়ান্ত । ইহা ছাড়াও ৩ প্রকার। যথা- ১। দোতরফা ( ধারা ২(২),২। এক তরফা ( আদেশ ৯ বিধি ৬) ও ৩। সোলে বা আপোষমুলক ( আদেশ ২৩ বিধি ৩) । সুতরিং সামগ্রিক ভাবে ডিক্রী ৫ প্রকার । ডিক্রীর বিরদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আপিল আদালতে আপিল করতে পারে ।
ডিক্রীর বৈশিষ্ট নিম্মরুপ:- (ক) বিচারকের রায়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ , (খ) মামলার পক্ষসমুহের অধিকার চুড়ান্ত ভাবে নির্ধারন ,(গ) মামলার যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তের অবিচ্ছেদ্য অংশ ডিক্রী, ও (ঘ) সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হতে হবে ।
এক তরফা ডিক্রী ( Exparte Decree) :- দেওয়ানী কার্যবিধির ৯ আদেশ ৬ বিধির বিধান মতে শুনানীর তারিখে বাদী উপস্থিত কিন্তু বিবাদী অনুপস্থিত এবং বিবাদীর প্রতি যদি সমন যথারিতি জারী হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বিবাদীর অনুপস্খিতিতে যে ডিক্রী প্রদান করে তা এক তরফা ডিক্রী ।
সোলে বা আপোষমূলক ডিক্রী ( Compromise Decree) :– দেওয়ানী কার্যবিধির ২৩ আদেশ ৩ বিধির বিধান মতে উভয়পক্ষের আপোষ মতে যে ডিক্রী দেয়া তাকে আপোষমূলক বা সোলে ডিক্রী বলে ।
মুল ডিক্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির প্রতিকার : – মুল ডিক্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ৯৬(১) ধারা সংশ্লিষ্ট আপিল আদালতে আপীল করতে পারে ।
এক তরফা ডিক্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির প্রতিকার : –এক তরফা ডিক্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ৫ ধরনের প্রতিকার পেতে পারে , যথা- ( ১) আপিল করতে পারে ,(২) রিভিউ করতে পারে , (৩) আদেশ ৯ বিধি ১৩ মোতাবেক ডিক্রী রদের দরখাস্ত করতে পারে ,(৪) আদেশ ৯ বিধি ১৩ক মোতাবেক সরাসরি ৩০০০/ টাকা জমা প্রদানে ডিক্রী রদের দরখাস্ত করতে পারে, ও (৫) প্রতারনামূলকভাবে হলে জানিবার তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে ডিক্রী রদের মামলা করতে পারে ।
সোলে ডিক্রীর বিরুদ্ধে প্রতিকার :- ৯৬(৩) ধারার বিধান মতে সোলে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল হয় না ।